
ফরিদপুর-৪ আসনের সাংসদ নিক্সন চৌধুরীর সাম্প্রতি’কালের কথাবার্তায় ক্ষো'ভ প্রকাশ করে বসুরহাট পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আপনার বিচা’র একদিন ফরিদপু’রের ভা’'ঙ্গার মানুষ করবে। সে দিন আর বেশি দূরে নয়। আপনি সংযত হয়ে কথা বলুন। ব'ঙ্গবন্ধুর পরিবারকে কলঙ্কি’ত করবেন না। এ পরিবার আমা'দের মূল চালিকা শক্তি, আমা'দের আদর্শ ব'ঙ্গবন্ধুর পরিবার।








তিনি আরও বলেন, আমাকে খোঁচাবেন না। আমাকে এক আঙুল দিয়ে খোঁচা’লে আমি দুই আঙুল দিয়ে খোঁচাবো। আপনি যত বড় নেতাই হোন। বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বসুরহাট ”চত্ব’রে এক’ সংবাদ সম্মেল’নে এসব কথা বলেন কাদের মির্জা।
এসময় নোয়াখালী-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ও নোয়াখালী সদর উপজে'লা চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন জেহানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘একরাম সাহেব, জেহান সাহেব মা'মলার ভয় দেখান? ৮২ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে গিয়ে গ্রে'ফতার হয়েছি। টাকার গরম দেখান, লুট করে কতো টাকার মালিক হয়েছেন? কোথায় পেলেন এত টাকা জনগণের কাছে একদিন হিসাব দিতে হবে।








কাদের মির্জা বলেন, আমি টেন্ডারবাজির কথা বলায় অশ্বদিয়ার এক নারী কে’লেঙ্কারি মা'দক মা'মলার আ'সামিকে দিয়ে আমা'র নামে মা'মলা দিয়েছেন। যে ছেলে রাতের অন্ধকারে আমা'র বোনদেরকে নিয়ে এ নেতাদে’র ‘হাতে ‘তুলে দেয়। আমা'র বিরু'দ্ধে মা'মলা যে বাদী হয়েছে, তার একটা ভাই সিন্ধুলপুরে’ ‘ডা'কাতির সময় গণপি’টুনিতে ‘মা'রা গেছে। শত মা'মলা করুক, আমি আইনের প্রতি শ্র'দ্ধাশীল। আইনে”র কাঠগড়ায় দাঁড়াবো, অ’পরাধী হলে আমা'র বিচার হবে। আর আপনাদের বিচার গণআ'দালতে করা হবে। সেদিন বেশিদিন নয়, অ’পেক্ষা করুন।
তিনি আরও বলেন, আপনি (একরামুল করিম চৌধুরী) ছেলের হাতে কেন অ'স্ত্র তুলে দিলেন। আপনার ছেলের জীবন আপনি নষ্ট করে দিয়েছেন। আমি এ ছেলেকে দায়ী করতে চাই না, দায়ী আপনি আপনার অ'স্ত্র আপনাকে ধ্বং'স করবে। আমা'র ছেলে যেদিন অ'স্ত্র হাতে নিবে সেদিন আমি আ'ত্মহ'ত্যা করে জীবন দিব। কবির’হাটে অ'স্ত্রবাজির কথা কবিরহাটের জনগণ কি ভুলে গেছে।নোয়াখালীর সম্মেলনের দিন আপনি সেখানে গু'লি করেছেন, এর সাক্ষী নোয়াখালী এসপি। সেদিন অ'স্ত্র নিয়ে আপনার ছেলেসহ আওয়ামীলীগের অফিস ভেঙেছেন। অ'স্ত্রের জোর দেখান, আমা'দের কাছে অ'স্ত্র নাই, আমা'র আছে জনগণ।








মা'মলার বি'ষয়ে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, অতীতেও আমা'র বিরু'দ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মা'মলা দেওয়া হয়েছিল। এবার সত্য কথা বলায় দলের কিছু দুষ্কৃতিকারীর গায়ে লেগেছে। তিনি বলেন, আমি অ’পরাজনীতির বিরু'দ্ধে কথা বলেছি। এতে কেউ রাগ হলে বা আমা'র বিরু'দ্ধে মিথ্যা মা'মলা দিলে তাতে আমা'র কিছু বলার নেই। তবে যতো বাধাই আসুক সত্য বচনে একটুও পিছপা হবো না।অনেকে বলেন আমি বড় নেতা হওয়ার জন্য অন্যায়ের বিরু'দ্ধে কথা বলি। আমি আজ ঘোষণা দিচ্ছি আমি কোনো পদ পদবীর রাজনীতি করি না। আমি কোন বড় দায়িত্বে যাব'ো না। আমি কোম্পানীগঞ্জ উপজে'লার সদস্য থাকবো। বসুরহাট পৌরসভার জনগণের সাথে থাকবো বাকী জীবন।
Leave a Reply