
কা’রাব’ন্দী মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী আবারও ওয়া’জ করতে চান। মানুষকে কুরআনের বাণী শোনাতে চান। শেষবারের মতো করতে চান হজ্বও। আর তার মৃ’ত্যু যেন মদীনাতে হয় এবং মৃ’ত্যুর পর জা’ন্নাতুলবাকীতে তার দা’ফন চান তিনি। মানবতাবিরোদী অপরাধের মামলায় আমৃ’ত্যু কা’রাদ’ণ্ডপ্রাপ্ত মা’ওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী ছেলে মাসুদ সাঈদী সোমবার বকশি বাজারের আলিয়া মাদ্রাসার অস্থায়ী আ’দা’লতে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
মাসুদ সাঈদী বলেন, বাবার সাথে করো’নাভাই’রাসে কারনে দীর্ঘ নয়মাস পর ৫ মিনিটের জন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। তিনি শা’রীরি’কভাবে দু’র্বল হলেও মা’ন’সিকভাবে খুবই দৃড় রয়েছেন। দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। আর বলেছেন, এটি মিথ্য মামলা, এটি নিয়ে যাতে কেউ বি’ভ্রান্ত না হন।








মাসুদ সাঈদী আরো বলেন, এটি ভিত্তিহীন মাম’লা। ২০১০ সালে মা’মলাটি দায়ের হলেও সরকার চার্জ গঠন করতে পারেনি। হঠাৎ করে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ফেরাতে এবং দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর চরিত্র হ’ননের উদ্দেশ্যে মামলাটি চালু করা হয়েছে।
এদিকে সাঈদীর আইনজীবী মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, এ মা’ম’লার তদবিরকারক শামীম সাঈদী ও মাসুদ সাঈদীকে আদা’লতে প্রবেশ করতে দেওয়া হতোনা। আদা’লতের দৃষ্টিতে আনার পর তাদেরকে কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। সাঈদী ৮২ বছরের বৃদ্ধ হওয়ায় নিজ খরচে আ’দালতে আনা-নেয়ার জন্য যানবহনের ব্যবস্থা করতে আবেদন করলে আ’দালত তাও ম’ঞ্জুর করেছেন বলে জানান তিনি।








এর আগে জাকাত তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে সকালে প্রিজন ভ্যানে করে কাশিমপুর কা’রাগা’র থেকে বিশেষ জজ আ’দালতে হা’জির করা হয়। এসময় সাঈদীর সকালের নাস্তা হিসেবে পরোটা, ডিম ও ডাল সরবরাহ করেন তার ছেলে শামীম সাঈদী। তবে তা ভেতরে পাঠানোর আগে পুলিশের সামনে খেয়ে দেখাতে হয়। পরে সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদা’লত।
Leave a Reply