
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বিয়ের দাবিতে স্কুল শিক্ষক প্রেমিকের বাড়িতে এক স'প্ত াহ ধরে অবস্থান করছেন এক কলেজছাত্রী। কিন্তু প্রেমিকার আসার খবরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন ওই শিক্ষক।এদিকে বিয়ে না করলে আ'ত্মহ'ত্যার হু’মকি দিচ্ছেন ওই ছাত্রী। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।








ওই শিক্ষকের নাম কাইয়ূম। তিনি চরতেরটেকিয়া মৌজা বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তার বাড়ি উপজে'লার চরতেরটেকিয়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে। আর ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর নাম ঝুমা আক্তার। সে পাকুন্দিয়া উপজে'লার চরফরাদী ইউনিয়নের চরটেকিয়া গ্রামের মো. আহাদ মিয়ার মেয়ে ও পাকুন্দিয়া ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
জানা গেছে, ঝুমা ২০১০ সালে ওই বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় কাইয়ূমের কাছে প্রাইভেট পড়তেন। এসময় ঝুমা'র স'ঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন কাইয়ূম। একপর্যায়ে বিয়ের প্র'লোভন দেখিয়ে গো'পন সম্পর্কেও করে কাইয়ূম। ২০১৫ সালে এসএসসি পাস করে ঝুমা। তিন বছর আগে পারিবারিকভাবে উপজে'লার একটি গ্রামে ঝুমা'র বিয়ে দেন তার পরিবার। এরপরও থেমে নেই কাইয়ূম।








ঝুমা'র মুঠোফোনে তার যোগাযোগ অব্যা'হত থাকে। তিনি বিভিন্ন সময়ে মুঠোফোনে ঝুমা'র স্বামীকে নানা ধরনের ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসছে। এমনকি পুনরায় বিয়ের প্র'লোভন দেখিয়ে স্বামীর সংসার ত্যাগ করে ঝুমাকে চলে আসতেও বলে। এর মধ্যে ঝুমা কয়েকদিন আগে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে। এ সুযোগে ঝুমাকে ফুঁসলিয়ে ওই শিক্ষক তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে ছাত্রীর স'ঙ্গে রাত্রিযাপন করেন তিনি।
পরের দিন ৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে কাজীর মাধ্যমে বিয়ের জন্য ঝুমা চাপ দিলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় কাইয়ূম। বি'ষয়টি মুঠোফোনে বাবাকে জানায় ঝুমা। পরে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ওই বাড়িতে উপস্থিত হয়ে কাইয়ূমের বাবা নূরুজ্জামানকে চাপ দিলেও তিনি বিয়ে করাতে রাজি হননি। পরে গত ম'ঙ্গলবার বিকেলে পাকুন্দিয়া থানায় একটি অ'ভিযোগ দায়ের করেন ঝুমা'র বাবা।








ঝুমা'র দাবি, ‘তার শিক্ষক কাইয়ুমের স'ঙ্গে ১০ বছর ধরে সম্পর্ক। তাদের মধ্যে বহুবার শারীরিক সম্পর্কও হয়েছে। বিয়ের পরও কাইয়ুমের সাথে তার যোগাযোগ ছিল।’তিনি বলেন, ‘কাইয়ুমের কথামতোই তার বাড়িতে এসেছি বিয়ের জন্য। কিন্তু সে প্রতারণা করে পালিয়ে গেছে। সে ফিরে আসার আগ পর্যন্ত এ বাড়িতেই থাকবো। আমা'রতো আর কোথাও যাওয়ার নেই। প্রয়োজনে আ'ত্মহ'ত্যা করব।’
এ ব্যাপারে উপজে'লা মহিলা বি'ষয়ক কর্মক'র্তা স্বপন কুমা'র দত্ত জানান, আমর'া মেয়েটিকে বুঝিয়ে হেফাজতে নেয়ার জন্য চেষ্টা করছি। কিন্তু সে কিছুতেই প্রেমিকের বাড়ি ছাড়তে রাজি না। হাতে কিটনাশ'কের বোতল নিয়ে বসে আছে। জোর করলেই আ'ত্মহ'ত্যার হু’মকি দিচ্ছে। উপজে'লা নির্বাহী কর্মক'র্তার নির্দেশে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। আমর'া তাকে আইনি সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছি।








এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে জানিয়ে পাকুন্দিয়া থানার পরিদর্শক মো. শ্যামল মিয়া জানান, মেয়েটির বাবা থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন। কিন্তু এতে কিছু ত্রুটি আছে। তাই এটি সংশোধন করে মা'মলা রুজুর প্রস্তুতি নিচ্ছি। মেয়েটির নিরাপ'ত্তার দিকটিও দেখছে পুলিশ।
Leave a Reply