
ফ্লাইটের টিকিট পাওয়া না গেলেও আসন খালি রেখেই চলছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বিমানবন্দরে ম’শার অ’ত্যা”চা’রে বসতে পারেন না সাধারণযাত্রীরা আর ভিআইপি লাউ’ঞ্জের অবস্থা আরও ভ’য়া’বহ। এমন সব অ’ভিযো’গ সংসদের বিরো’ধীপক্ষের একাধিক সদস্যের।








তবে বি’রো’ধী’দের এমন অ’ভিযো’গের পরিপ্রেক্ষিতে বেসরকারি বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, একেবারে দু’র্নী’তি হয় না, তা নয়। তবে এখন দু’র্নী’তি কমেছে, সীমিত পরিসরে দু’র্নী”তি হচ্ছে। বিএনপির আমলে বিমানকে জঘ’ন্য অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিল। বর্তমান সরকার ট্র্যাকে আনার চেষ্টা করছে।’
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশনে ‘বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধ’ন) বিল-২০২০’ পাসের জন্য উত্থাপন করলে বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যদের এমন সমালোচনার মুখে পড়েন বেসামর'িক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। উত্থাপিত বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্যরা এসব অ'ভিযোগ করেন।
বিলের ওপর আলোচনায় বিএনপির হারুনুর রশীদ বলেন, ‘ট্রাভেল এজেন্সিগু'লোর স্বার্থ রক্ষায় এ বিল আনা হয়েছে। এ বি'ষয়ের আরও যাচাইবাছাইয়ের দাবি জানান তিনি। তিনি বলেন, বিমানের গ্রাহকদের স্বার্থ র’ক্ষার দিকে নজর নেই। বিমানবন্দরে মশার অ’ত্যাচা’রে বসা যায় না। কয়েকজনকে দেখি ব্যাট হাতে ঘুরে বেড়ায়, ফুটুস ফুটুস করে মশা মা’রেন। ভিআইপি লাউঞ্জগু'লোতে বসা যায় না। কে বসবে কে বসবে না, কোনো ঠিক নেই। এগু'লো মন্ত্রণালয়কে ঠিক করতে হবে।’








জাপার মুজিবুল হক বলেন, বিলের স'ঙ্গে দ্বিমত নেই। কিন্তু বিমানের ইতিহাস সুখকর নয়। বেশির ভাগ সময় এটি লোকসান করেছে। বিমানের ব্যবস্থাপনার দু’র্বল’তার কারণে লাভ করা মুশকিল। যারা এজেন্ট, তারা টিকিট বিক্রির টাকা দেন না। এজেন্টরা কারসাজি করেন। টিকেট পাওয়া যায় না। কিন্তু সিট ফাঁ'কা থাকে। বিমানে যারা কাজ করেন, তারা বিমানকে বাপের সম্প’ত্তি মনে করেন।
ভিআইপি লাউঞ্জে সংসদ সদস্যদের জন্য একটি কক্ষ রাখার দাবি জানান জাপার এই এমপি। তিনি বলেন, কয়েক’শ যুগ্ম ও অতিরিক্ত সচিব, ১০০ সচিব। সাড়ে তিন’শ সংসদ সদস্য। ভিআইপি লাউঞ্জে গা’দাগা’দি করে দাঁ’ড়ানো যায় না। বিএনপির সংরক্ষিত সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, এজেন্সিগু'লো নিজেরা ক্রেতা সেজে টিকিট বুক করে রাখে। তিন-চতুর্থাংশ বুকিং বাতিল হয়েছে। এতে ক্ষ'তি হয় বিমানের। যে এজেন্সিগু'লোর কথা বলা হচ্ছে, সেগু'লোর নিয়ন্ত্রক মন্ত্রণালয়। অদক্ষ ব্যবস্থাপনার জন্য বিমান লোকসানে। উড়োজাহাজ কেনা, ইজারা দেয়া, ফুড ক্যাটারিংয়ে অনিয়ম চলছে।








বিরো’ধীদের অ'ভি’যোগে’র পরিপ্রেক্ষিতে মাহবুব আলী বলেন, আগে টিকিট নিয়ে সমস্যা ছিল। এখন তা আর নেই। অনেক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দায়ী ব্যক্তিদের শা’স্তির আও’তায় আনা হয়েছে। এখন বিমানের আসন ফাঁ'’কা যায় না। বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইন বেশি ক’ঠো’র হলে অ’পব্য’বহার বেশি হয়। সবার স্বার্থ বিবেচনা করেই বিলটি আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি তাদের আমলে বিমানকে জঘন্য অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিল। বর্তমান সরকার ট্র্যাকে আনার চেষ্টা করছে। একেবারে দু’র্নী’তি হয় না, তা নয়। তবে এখন দু’র্নী’তি কমেছে, সীমিত পরিসরে। সাংসদদের জন্য আলাদা কক্ষ রাখার বি'ষয়টি বিবেচনারও আশ্বা'স দেন তিনি। পরে বিলের ওপর দেয়া জনমত যাচাইবাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগু'লোর নিষ্পত্তি শেষে বিলটি পাস হয়। বিলে ট্রাভেল এজেন্সিগু'লোর মালিকানা হস্তান্তর এবং দেশ-বিদেশে শাখা খোলার সুযোগ রাখা হয়েছে।








বর্তমানে কোনো অ’পরাধের জন্য ট্রাভেল এজেন্সিকে জরিমানার সুযোগ নেই। ক'র্তৃপক্ষ তাদের নিবন্ধন স্থগিত বা বাতিল করতে পারে, কিন্তু পাস হওয়া বিলে জরিমানার সুযোগ রেখে বলা হয়েছে, কোনো বিধান ল’ঙ্ঘ’ন করলে ছয় মাস জেল, পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দ’ণ্ড দেয়া হবে। আর এ সংক্রা'’ন্ত মা’ম’লা নিষ্পত্তিতে ফৌজদারি দ’ণ্ডবি’ধি প্রযোজ্য হবে বলেও বিলটিতে বলা হয়েছে।
Leave a Reply