
কি’শোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা ম’সজিদের দান সিন্দুক ৫ মাস পর আবারও খোলা হয়েছে। দান সিন্দুক থেকে টাকা খুলে বস্তায় ভরা হয়। ১৪টি বস্তায় ভরে টাকাগু'লো গণনা করার কাজ শুরু হয়েছে। টাকা গণনা করার পর জানা যাব'ে, এবার কত টাকা সিন্দুকগু'লোতে দান হিসেবে পাওয়া গেল।








শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে জে’লা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রা'প্ত কর্মক’র্তাদের উপস্থিতিতে দান সিন্দুকগু'লো খোলা হয়। প্রতিবারেই সিন্দুক খুললে প্রায় ১ কোটির মতো টাকা পাওয়া যায়। সর্বশেষ গত ২০ সালের ২২ আগস্ট ১ কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭১ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।বিপুল পরিমাণ দানের এই নগদ টাকা ছাড়াও বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা ও দান হিসেবে বেশ কিছু স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়। এবার আরও বেশি টাকা পাওয়া যেতে পারে বলে জানা গেছে।
টাকা গণনা কাজ তদারকি করছেন কি’শোরগঞ্জের অ’তিরিক্ত জে’লা মাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী মাজিস্ট্রেট মোঃ জুলহাস হোসেন সৌরভ, মোঃ ইব্রাহিম, শফিকুল ইস’লাম, মোঃ উবায়দুর রহমান সালেহ, পাগলা ম’সজিদের প্রশাসনিক কর্মক’র্তা বীর মুক্তিযো'দ্ধা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা, রূপালী ব্যংকের এজিএম অনুফ কুমা’র ভদ্র প্রমুখ।








১৪টি বস্তায় ভরে টাকাগু'লো গণনা করার কাজে সহ’জোগীতা করছেন রূপালী ব্যাংকের কর্মক’র্তারা। এরপর টাকার পরিমাণ জানা যাব'ে।এদিকে পাগলা ম’সজিদে টাকা গণনার এই এলাহী কা’ণ্ড নিজ চোখে অবলোকন করতে শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ অনেকেই ম’সজিদে ছুটে যাচ্ছেন।জে’লা শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে এ ম’সজিদটির অবস্থান। এ ম’সজিদে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ টাকা-পয়সা, স্বর্ণালঙ্কারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র দান করেন। দেশের অন্যতম
আয়কারী ধ’র্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত ম’সজিদটি। দেশের অন্যতম আয়কারী ধ’র্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত ম’সজিদটিকে পাগলা ম’সজিদ ইস’লামী কমপ্লেক্স নামকরণ করা হয়েছে। এ ম’সজিদের আয় দিয়ে কমপ্লেক্সের বিশাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ম’সজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতে অর্থ সাহায্য করা হয়। সাধারণত তিন মাস বা তার চেয়ে বেশি সময় পর দান সিন্দুক খোলা হয়।
Leave a Reply