
কবি কাজী কাদের নেওয়াজের সেই উচ্চারণ, ‘মা কথাটি ছোট্ট অতি/ কিন্তু জেনো ভাই,/ ইহার চেয়ে নামটি মধুর/ তিন ভুবনে নাই…।’ সন্তানের জন্য মা করতে পারেন না, হে’ন কাজ নেই। সন্তানের ইচ্ছে পূরণ থেকে প্রেরণা, সবটাই যেন মা। আজীবন সুখে-দুঃখে সন্তানের পাশে স্তম্ভ হয়ে থাকেন মা। আর সে কারণেই মায়ের বিকল্প ‘'হতে পারে না।








তেমনই একজন মা নিতা আম্বানি, যিনি ভারতের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের মুকেশ আম্বানির স্ত্রী। নিতা ভারতের লাখো মানুষের প্রেরণা। আর ঘরের কথা যদি বলি, তিনি সব সময় তাঁর সন্তানদের সি’'দ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। ক্যারিয়ার থেকে জীবনস’'ঙ্গী নির্বাচন, নিতা আম্বানি সব সময় সন্তানদের মতকে সম্মান করেছেন।
গেল বছরের ডিসেম্বরে বলিউড শাদিস ডটকমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, এশিয়ার অন্যতম ধনী আম্বানি পরিবার এবং লাখো মানুষের প্রেরণা তাঁরা। কীভাবে পেশা ও ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্য এনে আনন্দময় করে তুলতে হয়, তা ভালোই জানেন মুকেশ আম্বানি ও নিতা আম্বানি দম্পতি। জীবনে এত কিছু পাওয়া সত্ত্বেও, গ্ল্যামা’র, ব্যবসা ও রাজনীতির বিশ্বে এত খ্যাতি সত্ত্বেও আম্বানি পরিবারের সদস্যদের সব সময় বিনয়ী ভাব থাকে।ওজন কমানোর আগে ও পরে অনন্ত আম্বানি। ছবি : সংগৃহীআইডিভাকে দেওয়া এক পুরোনো সাক্ষাৎকারে নিতা আম্বানি বলেছিলেন, ‘সম্পত্তি ও ক্ষমতা একস’'ঙ্গে চলতে পারে না। ক্ষমতা দালালিপনা ‘'হতে পারে না। আমা’র কাছে ক্ষমতা মানে দায়ব’'দ্ধতা। এবং আমি এটা অর্জন করেছি আমা’র পরিবার, আমা’র কাজ, আমা’র আকাঙ্ক্ষা এবং আমা’র মধ্যবিত্ত মূল্যবোধ থেকে।’








নিতা আম্বানির তিন সন্তান—আকাশ, ইশা ও অনন্ত। তাঁর ছোট ছেলে অনন্তের ওজন কমানোর যাত্রায় প্রেরণা মা নিতা আম্বানি। নিতা ভেবেছিলেন, ওজন কমাতে ছেলেকে উৎসাহ দিতে হবে। এরপর নিতা নিজের ওজন ৪০ কেজি কমান। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিতা বলেছিলেন, ছোট ছেলে অনন্তের ওজন কমানোয় উৎসাহ দিতে তিনি নিজের ওজন কমানোর সি’'দ্ধান্ত নিয়েছিলেন। নিতা বলেন, ‘মা যা করে, সন্তানও তা করে। তো, ওকে (অনন্ত) ডায়েটে রেখে আমি খেতে পারি না।’
কীভাবে অনন্তকে উৎসাহ জুগিয়েছিলেন, সে কথাও বলেছেন নিতা আম্বানি। তাঁর ভাষ্যে, ‘তাই আমিও অনন্তের স’'ঙ্গে ডায়েট শুরু করলাম। সে যা খেত, আমিও তাই খেতাম। যখন সে ব্যায়াম করত, আমিও করতাম। যখন যে হাঁটতে বেরোত, আমিও ওর স’'ঙ্গে যেতাম। ওর মা হিসেবে আমি ওজন কমিয়েছি। ও আমা’র প্রধান প্রেরণা এবং সেটা থাকবে; যেহেতু আমর'’া দুজনই স্থূলতার বিরু’'দ্ধে লড়াই করছিলাম। অনেক ছেলেমেয়েরই এটা রয়েছে এবং মায়েরা তা প্রকাশে ল’জ্জাবোধ করেন।’








সে সময় অনন্ত আম্বানি সেলিব্রেটি ট্রেইনার বিনোদ চান্নাকে মেন্টর করেছিলেন এবং টানা ১৮ মাস কঠোর প্র’শিক্ষণ নেন। তাঁর মা নিতা আম্বানিও রুটিন মেনে কঠোর পরিশ্রম করেন।এত বছর অতিক্রা'’ন্ত হওয়ার পরেও নিতা আম্বানি প্রতিদিন ৪০ মিনিট ব্যায়াম করেন। যোগব্যায়াম, সাঁতার ও নৃত্য করেন। তাজা ফলমূল ও শাকসবজিসহ কম কার্বোহাইড্রেট থাকা খাবার খান। আর তাঁর সৌন্দর্যের মূলমন্ত্র হলো, প্রতিদিন এক গ্লাস করে বিটের জুস পান।
Leave a Reply