
বিদেশি মদের সঙ্গে রেক্টিফাইড স্পিরিটসহ অন্যান্য উপকরণ মিশিয়ে বিক্রি করেছিলেন বিক্রেতারা। থার্টিফাস্ট নাইটে সেই মদ পানের কারণেই রাজশাহীতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ এমন তথ্য দিয়েছে।








রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বিকাল থেকে রবিবার বিকাল পর্যন্ত ওই ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে পুলিশের তালিকায় মৃতের সংখ্যা পাঁচজন।
মৃত ছয়জন হলেন- নগরীর হোসনীগঞ্জ এলাকার ছাত্রদল নেতা ফয়সাল হোসেন, জেলার বাগমারা উপজেলার শান্তাপাড়া এলাকার সজল, নগরীর বাকির মোড় এলাকার সাগর, হেতমখাঁ এলাকার তুহিন, কাদিরগঞ্জ এলাকার মুন আহমেদ এবং দড়িখড়বোনা এলাকার ইশাকুল ইসলাম।
এদিকে, মদপানে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় নারীসহ এখনও কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।








তাদের কাছে মদ বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার চারজন হলেন- নগরীর বোয়ালিয়া থানার সাগরপাড়া এলাকার পরিমল সিং ও বাপ্পা সিং, সাগরপাড়া বল্লভগঞ্জ এলাকার সাজু এবং রাজপাড়া থানার সিপাইপাড়া এলাকার ইফতেখার হোসেন ওরফে সুমন।
এদের কাছ থেকে তিনটি কাঁচের তৈরি মদের খালি বোতল, টিউনিং মদ (মিশ্রিত মদ) তৈরির তরল পদার্থ ভর্তি একটি প্লাস্টিকের তৈরি বোতল, তেতুলের বিচি ভর্তি একটি কাঁচের বোতল, কমলা রঙের ৫০ গ্রাম গুড়ো রঙ, ২৯টি টিন ও প্লাস্টিকের তৈরি কর্ক, ১১টি কর্কের নিব, ৫০টি কর্কের প্রটেকশন এবং অ্যালকোহল ভর্তি দুটি প্লাস্টিকের সাদা বোতল জব্দ করা হয়েছে।








রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, মদপানে মৃত্যু এবং অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির ঘটনায় আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিকের তাৎক্ষণিক নির্দেশে এবং পরিকল্পনায় বিভিন্ন থানা ও গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের সমন্বয়ে অবৈধ মদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়। এর মধ্যে বোয়ালিয়া মডেল থানার একটি দল মৃত ব্যক্তিদের আত্মীয়-স্বজন এবং চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। এছাড়া গোপন সংবাদে শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা স্বীকার করেন যে, তারা লাভের আশায় বিদেশি মদে রেক্টিফাইড স্পিরিটসহ অন্যান্য উপকরণ মিশিয়ে এক বোতলকে একাধিক বোতলে পরিণত করেছিলেন। এসব মদ মৃত ও অসুস্থ ব্যক্তিদের কাছে বিক্রি করেছিলেন। এছাড়া, অসুস্থ ব্যক্তিদের ছবি দেখানো হলে তারাও গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মদ বিক্রেতা হিসেবে সনাক্ত করেন।








তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। অবৈধ মদের উৎস সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার জন্য কঠোর অভিযান অব্যহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply