
জাপানের ৪০ শতাংশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান চীন থেকে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে, কিংবা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে অথবা নেওয়ার কথা ভাবছে। গত মঙ্গলবার টোকিওভিত্তিক বার্তা সংস্থা কিয়োডো নিউজের এক জরিপে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
কিয়োডো কর্তৃপক্ষ জরিপের জন্য জাপানের প্রায় ১৫০টি প্রধান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এর মধ্যে ৯৬টি প্রতিষ্ঠান সাড়া দিয়েছে। জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৪২টি প্রতিষ্ঠান তাদের সরবরাহ ব্যবস্থা চীন থেকে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সরিয়ে নিতে চায়।








অবশ্য জাপান সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের দেশেই উৎপাদনকেন্দ্র ফিরিয়ে আনার অনুরোধ জানিয়েছে। তবে মাত্র আটটি প্রতিষ্ঠান সরকারের এ আহ্বানের বিষয়ে ইতিবাচক চিন্তা করছে। প্রায় ৬০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, তারা অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ চালাচ্ছে বা নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগুলো চিহ্নিত করেছে।
২৭ শতাংশ বা ২৬টি প্রতিষ্ঠান বলেছে, তারা প্রযুক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়া ঠেকাতে অংশীদারদের সঙ্গে যৌথ গবেষণা নিষিদ্ধ করেছে। ছয়টি প্রতিষ্ঠান বলেছে, তারা এসব বিষয়ে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
মাত্র একটি প্রতিষ্ঠান অন্যদের সঙ্গে যৌথ গবেষণা করছে। জরিপের উল্লেখযোগ্য আরেকটি বিষয় হচ্ছে, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৫৯ শতাংশ, অর্থাৎ ৫৭টি প্রতিষ্ঠানই তাদের পণ্য উৎপাদনে কোনো ধরনের জোরপূর্বক শ্রম ব্যবহার করছে না। এটা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থাও নিয়েছে তারা। জাপান টাইমস








আরো পড়ুন:হটাৎ পাকিস্তানি নারীদের কেন বিয়ে করছে চীনারা?
চীনারা বিয়ের ক্ষেত্রে পাকিস্তানি নারীদের পছন্দের সবার উপরে রাখছেন। দেশটির লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি, গুজরানওয়ালা, মান্ডি বাহাউদ্দিন ও ফয়সালাবাদের নারীদের বেশি বিয়ে করছেন চীনারা। কিন্তু কেন? কী কারণে পাকিস্তানি নারীদের প্রতি তাদের এত আগ্রহ?ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য সিয়াসাত ডেইলির এক প্রতিবেদন এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের বিবাহযোগ্য পুরুষদের বিয়ের জন্য পাকিস্তানি কনের সন্ধানের অন্যতম কারণ- দেশটির জনসংখ্যার ক্ষেত্রে ক্রমবর্দ্ধমান পার্থক্য। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পাকিস্তানের বেশকিছু জায়গায়








ব্যাপক দারিদ্র্য জনগোষ্ঠী অভাব থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। এসব পাক নারী বেশিরভাগই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। আর বিয়ে করতে গিয়ে চীনের বরপক্ষ থেকে অনেকক্ষেত্রেই এসব নারীর নানা ধরনের প্রলোভন দেখানো হয়।
এক সন্তান নীতির কারণে বেশ ভুগছে চীন। পুত্রসন্তানরা প্রাধান্য পাওয়ায় লিঙ্গ সংক্রান্ত যে পার্থক্য গড়ে উঠেছিল তা এখনও রয়ে গেছে। যদিও ওই নীতি এখন বাতিল হয়েছে। গত ডিসেম্বরের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী,








চীনে বিবাহযোগ্য পুরুষের সংখ্যা বিবাহযোগ্য নারীদের তুলনায় তিন কোটি বেশি। অপরদিকে, দরিদ্র জীবন থেকে একটি ভালো জীবনের আশায় পাকিস্তানি নারীরাও ভিনদেশে বিয়ে করছে। দুই দেশের মধ্যে ভালো সম্পর্কের কারণে একে অন্যের সাহায্য নিচ্ছে। সে কারণেই পাকিস্তানি নারীদের সঙ্গে চীনা পুরুষদের বিয়ের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে।
Leave a Reply