
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইস’লামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীকে নিয়ে একটি ফেসবুক স্টেটাস দিয়েছেন। স্ট্যাটাসটি পাঠকদের উদ্দেশ্যে হুবহু তুলে ধ’রা হলোঃ
মুহতারাম এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী সাহেবকে মোবারকবাদ। সকল ইস’লামপন্থীর প্রতি দরদ রেখে ইস’লামকে রিপ্রেজেন্ট করলে, এভাবেই সর্বমহল থেকে এপ্রিসিয়েশন অর্জিত হয় এবং এতে করে ইস’লামের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার উপলক্ষ্য তৈরী হয়।








আর দলমত নির্বিশেষে ইস’লামের জন্য তাওহিদপ্ন্থীরাও এভাবে সব একাকার হয়ে যায়। উম্মাহ দরদী না হয়ে, উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং উজ্জীবিত করা অসম্ভব।
প্রত্যেক ইনফ্লুয়েন্সিয়াল আলেম ও দ্বা’য়ীদের উচিত— তাদের ইনফ্লুয়েন্সকে কাজে লাগিয়ে, এদেশের লোকদের মাইন্ডসেট পরিবর্তন করা। ইস’লামের ব্যাপারে পজেটিভ মাইন্ডসেট তৈরী করা। আপনাকে জাগতে হবে, জাগাতে হবে এবং ভ্যালু ক্রিয়েট করতে হবে, তা নাহলে লোকজন আপনাকে শুনবে না, মানবেও না।আর সেটা হবে গবেষণাধ’র্মী, সমাজমুখী এবং উৎপাদনমুখী কাজের মাধ্যমে। আলেম ওলামাদের কুরআন সুন্নাহর জ্ঞানের পাশাপাশি কনভেনশনাল জ্ঞানেও সমানভাবে দক্ষ হতে হবে।








চলমান জাহেলিয়াতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের আলেম ওলামাদের তেমন কোন প্রজেক্ট নেই ,কারন তারা নিজেরা নিজেদের মধ্যেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে বেশী ভালবাসে।কাফির, বাতিল এবং ইহুদিদের দালাল— এই ডায়লগগুলো যেন একশ্রেণীর আলেম ওলামাদের ঠোঁটে সবসময় লেগে থাকে। এসব থেকে ফিরে আসতে হবে। অনেক হয়েছে, আর না। একে অন্যকে শত্রু জ্ঞান না করে “রুহামাউ বাইনাহু’ম” তথা একে অন্যের প্রতি কোমল ও সৌহার্দপূর্ণ হতে হবে। সকল ইস’লামপন্থীদের প্রতি হৃদয়ভরা দরদ নিয়েই, এক সাথে ইস’লামের জন্য কাজ করে যেতে হবে।
আরো পড়ুনঃ- বর্তমানে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে মু’সলমানদের সংখ্যা মাত্র ১৫ কোটির মতো, তবে তারা সং’খ্যাগ’রি’ষ্ঠ সম্প্রদায়ের ১০০ কোটি হিন্দুকে শা’সন করার শ’ক্তি রাখে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মু’সলিমিন দলের নেতা ওয়ারিস পাঠান।সম্প্রতি কর্নাটকের গুলবার্গা নামক এলাকায় একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি। ভারতের বি’ত’র্কিত নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে না’রীরা বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন করছেন সেই বি’ষয়েরও উল্লেখ করেছেন তিনি। এ সময় তাদের স্ত্রী সিংহদের স’ঙ্গে তুলনা করে ওয়ারিস পাঠান বলেন, ”তারাই আন্দো’লন পুরো দেশে ছড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু যখন পুরো সম্প্রদায় একত্রিত হবে, তখন তা আরো ছড়িয়ে যাবে।”এ সময় ওয়ারিস পাঠান আরও বলেন, ”কেউ কেউ আমাদের বলছেন কেন না’রীদের সামনে এগিয়ে দিয়েছে আমরা। আমি তাদের বলতে চাই, শুধুমাত্র সিংহীদের বেরিয়ে আসতে দেখেই আপনাদের ঘাম ঝরছে।








তাহলে আপনারা চিন্তা করুন আমরা সবাই যদি একস’ঙ্গে রাস্তায় বেরিয়ে আসি তাহলে কী হবে। আমরা শুধুমাত্র ১৫ কোটি। কিন্তু, আমাদের শ’ক্তি এদেশের ১০০ কোটি সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের থেকে অনেক বেশি।” সূত্র : এএনআইমা’র্কিন প্রে’সিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘আমেরিকা যদি অবকাঠামো খাতে ব্যয় না বাড়ায়, তবে চীন আমাদের ছাড়িয়ে যাবে। তারা আমাদের বাড়া ভাতে ছাই দেবে।’ বৃহস্পতিবার একদল সিনেটরের সামনে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি এই হুশিয়ারি দেন। এর একদিন আগে চীনা প্রে’সিডেন্ট শি জিনপিংয়ের স’ঙ্গে তার ফোনালাপ হয়েছে।
মা’র্কিন প্রে’সিডেন্ট বলেন, ‘যদি আমরা জোর গতিতে সামনে না এগোই, তারা আমাদের ছাড়িয়ে যাবে। পরিবহন, পরিবেশসহ অন্যান্য ইস্যুতে তারা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে। আমাদেরও গতি বাড়াতে হবে।’ বিশ্বজুড়ে অবকাঠামো খাতে চীন বিপুল অর্থ ঢালছে। উচ্চগতির রেল, মেট্রো সিস্টেম, আবাসন ভবন, বৈদ্যুতিক গ্রিড ও মোবাইল নেটওয়ার্কে তারা বিনিয়োগের বন্যা বইয়ে দিয়েছে।বাইডেন বলেন, ‘রেল খাতে তাদের বড় বড় প্রকল্প আছে। তাদের এমন রেল আছে, যাতে এক ঘণ্টায় ২২৫ মাইল পথ যাওয়া যাবে।’ শি জিনপিংয়ের স’ঙ্গে প্রথম ফোনালাপে বাইডেন অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। অন্যদিকে শি জিনপিং সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সং’ঘাত দুই দেশের জন্যই বিপর্যয় বয়ে আনবে।








হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানায়, প্রে’সিডেন্ট জো বাইডেন জিনজিয়াংয়ে চীনের মা’নবাধিকার ল’ঙ্ঘন নিয়ে কথা বলেছেন। এ ছাড়া হংকংয়ের ও’পর চীনের দ’মনপীড়ন এবং তাইওয়ানের স’ঙ্গে চীনের চলমান উ’ত্তেজনা নিয়েও কথা বলেন তিনি।অন্যদিকে চীনের পররাষ্ট্র ম’ন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রে’সিডেন্ট শি সং’ঘাতের পরিণতি নিয়ে বাইডেনকে সতর্ক করে দিয়ে দুপক্ষেরই ভু’ল বোঝাবুঝি এড়িয়ে চলা দরকার বলে মত দিয়েছেন।
Leave a Reply