
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বীরউত্তম খেতাব বাতিলের বি'ষয়ে জাতীয় মুক্তিযো'দ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) প্রস্তাবের পর দলের মধ্যে কদর বেড়েছে খেতাবপ্রা'প্ত মুক্তিযো'দ্ধাদের। এ বি'ষয়ে কথা বলতে সংবাদ সম্মেলনে ডাকা হচ্ছে দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও শাহজাহান ওমর'কে। এছাড়া নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে ৬ সিটিতে যে সমাবেশ হবে তার মধ্যে বরিশালের আজকের সমাবেশে প্রধান অতিথি করা হয়েছে হাফিজকে।
দলের কর্মসূচিতে ডাকার বি'ষয়ে জানতে চাইলে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বি'ষয় যখন শ’হীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তখন তো আসতেই হবে। তার নেতৃত্বে বৃ'হত্তর সিলেটে যু'দ্ধ করেছি। এখন তার খেতাব বাতিলের সি'দ্ধান্তের প্রতিবাদে কথা বলা দায়িত্ব মনে করছি। পাশাপাশি এ বি'ষয়ে কথা বলতে দলের দায়িত্বশীল নেতারা আমা'দের ডাকছেন। ভালোই লাগছে। আমর'া ঐক্যব'দ্ধভাবে এ বি'ষয়ে কথা বলব, আন্দোলন করবো।








এর আগে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর হাফিজকে শোকজ করা হয়েছিল। গত ১৯ ডিসেম্বর তিনি এ বি'ষয়ে তার বক্তব্য তুলে ধরেন। তখন হাফিজ আ'ক্ষেপ করে বলেছিলেন, গত দেড় বছরে দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে দলের কোনো অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়া হয়নি।
দলীয় কর্মসূচিতে হাফিজকে না ডাকার বি'ষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের দ'প্ত র সংশ্লিষ্ট এক নেতা বলেন, বিএনপি এখন একটি বড় দল। দলের কর্মসূচিতে যখন যাকে প্রয়োজন মনে করা হয় তখন তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। হাফিজ উদ্দিন আহমেদ একজন খেতাবপ্রা'প্ত মুক্তিযো'দ্ধা। তাই ২৬ মা'র্চ স্বাধীনতা দিবস, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসসহ তার স'ঙ্গে সংশ্লিষ্ট বি'ষয়ে কথা বলার প্রয়োজন হলে তাকে ডাকা হয়।
তিনি বলেন, বিএনপি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বছরব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করবে। এসব কর্মসূচি প্রণয়নে যে কমিটিগু'লো করা হয়েছে সেখানে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, শাহজাহান ওমর'দের রাখা হয়েছে।








গত ৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় মুক্তিযো'দ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭২তম সভায় জিয়াউর রহমানের ‘বীরউত্তম’ খেতাব বাতিলের সি'দ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি ব'ঙ্গবন্ধুর আ'ত্মস্বীকৃত খু'নি শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের সুপারিশ করা হয়। বি'ষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন জামুকার সদস্য ও মুক্তিযু'দ্ধ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান।
এরপর গত ১১ ফেব্রুয়ারি গু'লশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি। এই সংবাদ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও শাহজাহান ওমর'কে। সংবাদ সম্মেলনে তাদের বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হয়। হাফিজউদ্দিন আহমেদ মুক্তিযু'দ্ধের সময় ‘জেড’ ফোর্সের ‘এ’ ও ‘বি’ কোম্পানির কমান্ডার ছিলেন। জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে তিনি যু'দ্ধ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে হাফিজ বলেন, ব'ঙ্গবন্ধু হ'ত্যাকান্ডের ঘটনার স'ঙ্গে তৎকালীন উপ- সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান কখনো সম্পৃক্ত ছিলেন না। তাছাড়া ব'ঙ্গবন্ধু হ'ত্যাকান্ডের তো বিচার হয়েছে। কই কোনো সাক্ষী, কোনো ব্যক্তি কেউ কি বলেছে যে উনি এই ধরনের হ'ত্যাকান্ডে অংশগ্রহণ করেছেন বা এটা করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান কোনো ধরনের হ'ত্যাকা-ের স'ঙ্গে জড়িত ছিলেন না। হি ওয়াজ এ ন্যাশনাল হিরো।








অন্যদিকে শাহজাহান ওমর' ৯ নম্বর সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কী কারণে হঠাৎ করে জামুকা একটা প্রস্তাব করলো, বোধগম্য নয়। জামুকা কে? জামুকার কোনো এখতিয়ার নেই মিলিটারি অফিসার যারা মুক্তিযো'দ্ধা, তাদের বি'ষয়ে সি'দ্ধান্ত নেওয়ার।
গত ১৪ ডিসেম্বর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে শোকজ করা হয়। তার বিরু'দ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকা-ের অ'ভিযোগ আনা হয়। ঐদিন রাতেই ওই নোটিস পাঠানো হয় হাফিজের কাছে। মেজর হাফিজকে শোকজ করায় দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা ক্ষু'ব্ধ হন। এরপর ১৯ ডিসেম্বর তিনি শোকজের জবাব দেন। একইদিন হাফিজ তার বনানীর বাসভবনে একটি সংবাদ সম্মেলন করে শোকজের জবাব দেওয়ার বি'ষয়ে তার বক্তব্য তুলে ধরেন।








সংবাদ সম্মেলনে তিনি আ'ক্ষেপ করে বলেন, গত দেড় বছরে এ ধরনের অনুষ্ঠানেও দলের দায়িত্বপ্রা'প্ত ব্যক্তিরা আমাকে ডাকার প্রয়োজন বোধ করেননি। বোঝাই যাচ্ছে, বিএনপিতে মুক্তিযো'দ্ধাদের কোণঠাসা করে রাখার জন্য একটি মহল সক্রিয় রয়েছে।
হাফিজ বলেন, বিগত এক বছরে আমি জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত ৬টি সভায় অংশ নিয়েছি। এর মধ্যে দুইটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযো'দ্ধা দল, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি দুইটি, বিএনপি ঘরানাভুক্ত সংগঠন একটি। দেশের খ্যাতনামা মুক্তিযো'দ্ধা'রা এসব সভায় অংশ নিয়েছিলেন।








আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি বলেন, ১৪ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর বিরু'দ্ধে সারা দিন মর'ণপণ যু'দ্ধের পর শ’হীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে সিলেট শহর দখল করেছিলাম। ২০২০ সালের এ দিনেই আমা'র দল আমাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। আমাকে পাঠানোর আগেই চিঠির বি'ষয়বস্তু ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে আমা'র অসংখ্য কর্মী মর'্মা'হত হয়েছে। এটি তো দলের অভ্যন্তরীণ বি'ষয়, গণবিজ্ঞ'প্ত ি দেওয়ার কোনো প্রয়োজন ছিল না।
Leave a Reply