
ভারতের সামনে ছিল বিশ্ব রেকর্ড গড়ার হাতছানি। কঠিন হলেও ক্রিকে'টে যে কিছুই অসম্ভব না তার প্রমাণ আরেকবার দিতে ব্য'র্থ হয়ে ঘরের মাঠে ২২৭ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ হেরেছে ভারত। ফলে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড।
ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সি'দ্ধান্ত নিয়েছিল ইংল্যান্ড। সফরকারীদের পক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকান অধিনায়ক জো রুট। তার ব্যাট থেকে আসে ২১৮ রান। এছাড়া ৮৭ রান করেন ডমিনিক সিবলি। ইংল্যান্ড সংগ্রহ করে মোট ৫৭৮ রান।








জবাবে প্রথম ইনিংসে ডম বেসের বোলিং তোপে ৩৩৭ রানেই অলআউট হয়ে গিয়েছিল ভারত। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯১ রান করেছিলেন রিশাভ পান্ট। ওয়াশিংটন সুন্দর অ’পরাজিত ছিলেন ৮৫ রানে ও চেতেশ্বর পূজারা করেছিলেন ৭৩ রান। বেস শিকার করেছিলেন ৩টি উইকেট। ইংল্যান্ড পেয়েছিল ২৪১ রানের বড় লিড।
প্রথম ইনিংসেই বড় লিড নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে ইংল্যান্ডও। দ্বিতীয় ইনিংসে সফরকারীরা অলআউট হয় মাত্র ১৭৮ রানে। অবশ্য তাতে সমস্যায় পড়তে হয়নি ইংলিশদের, কারণ প্রথম ইনিংসেই তারা জয়ের ভিত বুনে ফেলেছিলেন। ভারতের পক্ষে ৬টি উইকেট শিকার করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।








দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে চতুর্থ দিন শেষে ভারতের সংগ্রহ ছিল ১ উইকে'টে ৩৯ রান। পঞ্চম দিন সকালে বেশিক্ষণ এগোতে পারেননি চেতেশ্বর পূজারা। জ্যাক লিচের শিকার হন তিনি। তখনও ম্যাচের ভাগ্য পুরোপুরি নির্ধারিত হয়েছিল না। তবে জেমস অ্যান্ডারসনের এক ওভারে ইংল্যান্ডের জয়ের পাল্লা ভারি হয়ে যায়। অর্ধশতক হাঁকানো শুবমান গিল (৫০) ও আজিঙ্কা রাহানেকে (০) সাজঘরে পাঠান তিনি।
মধ্যাহ্ন বিরতির পরেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ভারতের ব্যাটিং। ১১০ রানেই ৫ উইকেট হারিয়েছিল ভারত। পঞ্চম দিনে বিরাট 'কোহলি একাই লড়াই করেন স্বাগতিকদের পক্ষে। তার ব্যাট থেকে আসে ৭২ রান। বেন স্টোকসের বলে বোল্ড হন তিনি। ভারতের ছয় ব্যাটসম্যানই এক অ'ঙ্কের রানেই আউট হন। ভারত অলআউট হয়েছে ১৯২ রানে। ফলে ইংল্যান্ড পেয়েছে ২২৭ রানের জয়।








সফরকারীদের পক্ষে লিচ ৪টি ও অ্যান্ডারসন ৩টি উইকেট শিকার করেছেন। ২২৭ রানের জয়ে ইংল্যান্ড এগিয়ে গিয়েছে ১-০ ব্যবধানে। এই সিরিজের ওপরে নির্ভর করছে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে কোন দল।
Leave a Reply