
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মোহা'ম্মা'দ আলী জিন্নাহ পাকি'স্তানের জাতির জনক। ১৯৪৮ সালে ঢাকায় ২১ মা'র্চ রেসকোর্স ময়দানে এক জনসভায় দেয়া ভাষণে দ্ব্য'র্থহীন চিত্তে ঘোষণা করেন, ”উর্দুই হবে পাকি'স্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা, অন্য কোনো ভাষা নয়।” এরপরে ২৪ মা'র্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে গিয়েও তিনি একই ধরনের বক্তব্য রাখেন।








উপস্থিত ছাত্ররা সমস্বরে না, না বলে চিৎকার করে ওঠে। তার এমন মন্তব্যের জেরে আগু'নের স্ফুলি'ঙ্গের মতো ক্ষো'ভ ছড়িয়ে পড়েছিল তৎকালীন পূর্ব পাকি'স্তান এখনকার বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত। গর্জে উঠেছিল বাঙালি। তারই ধা'রাবাহিকতায় বুকের তাজা র'ক্ত ঢেলে আ'দায় করে নিয়েছিল মাতৃভাষার সম্মান।
অথচ সেই বাংলা ভাষার বিরু'দ্ধাচরণকারী পাকি'স্তানের ‘কায়েদে আজম’ জিন্নাহর কবরেই টগবগ করছে বাঙালির প্রাণের ভাষা বাংলা। বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দিতে প্রথম আপ'ত্তি করা মোহা'ম্ম'দ আলী জিন্নাহর কবরে বাংলা ভাষাতেই লেখা রয়েছে তার জন্ম ও মৃ'ত্যুর তারিখ। করাচিতে অবস্থিত মোহা'ম্ম'দ আলী জিন্নাহর সমাধিস্থল বা মাজার পাকি'স্তানের অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান।








সবার জন্য উন্মুক্ত এই সমাধিস্থলটি প্রতিদিন হাজার হাজার লোক পরিদর্শন করে। জিন্নাহর সমাধিটি করাচি নগরীর মধ্যস্থলে প্রায় ৬১ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। স্মৃ'তিসৌধটি নির্মিত ৭৫ বাই ৭৫ মিটার প্ল্যাটফরমের ওপর। এর মূল স্তম্ভটির উচ্চতা ৪৩ মিটার। এই স্মৃ'তিসৌধ ঘিরে রয়েছে বিশাল একটি উদ্যান।
Leave a Reply