
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফিস। ডাকনাম আবির। টাইগারদের এক সময়কার সেরা ওপেনার। যার ভয়-ডরহীন ব্যাটিং মুগ্ধ করেছিল গোটা টাইগার সমর'্থকদের। ২০০৫ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের ৪৩তম ক্রিকেটার টেস্ট এবং একই বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৭৬তম ক্রিকেটার হিসাবে ওয়ানডে ক্রিকে'টে যাত্রা শুরু করেন শাহরিয়ার নাফিস।
আন্তর্জাতিক ক্রিকে'টের অ'ভিষেক বছরে ৭টি ওডিআই ম্যাচে দুটি অর্ধশতকের সাহায্যে ২৫৪ রান করে বুঝিয়ে দেন হারিয়ে যেতে আসেননি তিনি। ২০০৬ সালটা কাটিয়েছেন স্বপ্নের মতো। কিন্তু ২০০৮ সালে ভারতের বিদ্রোহী ক্রিকেট লিগ আইসিএলে ঢাকা ওরিয়র্সের হয়ে নাম লিখিয়েই নিজের বিপদ ডেকে এনেছেন। নিষে'ধাজ্ঞা কাটিয়ে ২৩ মাস পর টেস্টে ফিরে প্রত্যাব'র্তনকে স্মর'ণীয় করতে পারেননি।








২০১১ সালে পাকি'স্তানের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে ৯৭ রানের সেই ইনিংসটি এখনো পোড়ায় তাকে আ'ক্ষেপে। ওই টেস্টের পর ৭ ইনিংসে ফিফটি শূন্য, ২০১৩-এর পর টেস্টে আর ফিরতেই পারেননি। ২০১১-এর পর আর ফিরতে পারেননি ওয়ানডেতে, তা নিয়তি বলেই মেনে নিয়েছেন। অবশেষে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিলেন অবসরের ঘোষণা, তবে তার আগে যুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বড় এক পদে।
তবে অনেক উথান-পতনের মাধ্যমে ক্রিকে'টে এসেছেন নাফিস। আর এই ক্রিকেটারকে নিয়ে মর'্মস্পর্শী এক খোলা চিঠি লিখেছেন তাঁর গ'র্ভধারণী মা (সালম আনজুম লতা)। যেখানে উঠে এসেছে নাফিসের শৈশবের গল্প। মায়ের স্বপ্নের কথা। নিম্নে স্পোর্টসজোন পাঠকদের জন্যে তুলে ধ’রা হলো নাফিসের মায়ের খোলা চিঠি-








“নটরডেম থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়” ২০০৩ সাল। এইচ এস সি পরীক্ষার আর কয়েক মাস বাকি। শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য যখন আমা'র ছেলে শাহরিয়ার নাফীস সিলেক্ট হলো আমি দ্বিধায় পড়ে গেলাম। কি করবো? কলেজ থেকে কিভাবে পারমিশন নিবো? দেড় মাস ক্লা'শ না করলে ওরই বা কি হবে? একটা এ্যাপ্লিকেশন নিয়ে সোজা চলে গেলাম ওর কলেজে। এ্যাপ্লিকেশন এর সাথে আমাকে অনেক অনুনয় বিনয়ও করতে হলো। এর আগেও একবার সেন্ট যোসেফ স্কুলে এমনটা করতে হয়েছিল।
অনূর্ধ্ব-১৫ ক্রিকেট টূর্নামেন্ট খেলতে যখন মালয়েশিয়া গিয়েছিল। একই অবস্থা এবারও। তবে এবার একটা সুবিধা ছিল ততদিনে ওকে টিচাররা চিনতে শুরু করেছেন। পেপারে মাঝেমধ্যেই ছবি, ইন্টারভিউ আসতো। শর্ত সা'পেক্ষে অনুমতি পাওয়া গেলো। শ্রীলংকা থেকে আসার দুই আড়াই মাস পড়েই ওর ফাইনাল পরীক্ষা হয়েছিল। যেদিন ওর রেজাল্ট বেরুবে আমি ওর সাথে কলেজে গিয়েছিলাম। খুব টেনশন হচ্ছিল।








সম্ভবত বেলা চারটার দিকে রেজাল্ট পেলাম। বানিজ্য বিভাগ থেকে জিপিএ ৪’৪০ পেয়েছিল। ওদের সময় (ব্যাচ ২০০৩) চতুর্থ বি'ষয় যোগ হয়নি। ওর রেজাল্ট পেয়ে আমি খুব খুশী হলাম । সেদিনই পাকি'স্তান ট্যুরের জন্য টিম ঘোষনা করার কথা । কলেজ থেকে জাতীয় স্টেডিয়ামে গিয়ে শুনলাম আবীর (শাহরিয়ার নাফিস) ১৫ জনের দলে আছে। খুশীর এই খবরটি আমাকে দিয়েছিল Javed Islam Taposh। একই দিনে দু’দুটো সুসংবাদ নিয়ে সেদিন বাসায় ফিরেছিলাম।
Leave a Reply