
নিউজ ডেস্ক : বীর মুক্তিযো'দ্ধাদের ভাতা ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃ'তি মিলনায়তনে ইলেকট্রনিক প'দ্ধতিতে বীর মুক্তিযো'দ্ধাদের সম্মানী ভাতা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন তিনি৷ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সব মুক্তিযো'দ্ধার ভাতা ২০ হাজার করে দেয়ার কথা বলেছি। তবে বীরশ্রেষ্ঠ ও বীর উত্তম ছাড়া, তাদের বি'ষয়টি ভিন্ন।’ একইভাবে শ’হীদ মুক্তিযো'দ্ধা পরিবারের ভাতাও এমন সমান একটা অ'ঙ্কে ঠিক করে দেয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রণালয় ও জামুকা মিলে এটি করবে।’








তিনি আরও বলেন, ‘বীর মুক্তিযো'দ্ধা অনেকের ঘরবাড়ি নেই। তাদের ঘরবাড়ি করে দিচ্ছি। যাদের ত্যাগে দেশ পেলাম, সেই মুক্তিযো'দ্ধাদের ঘরবাড়ি থাকবে না, আমি ক্ষমতায় থাকতে এটা 'হতে পারে না।’এ সময় বিত্তবানদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযো'দ্ধা'রা দেশ স্বাধীন না করলে বিত্তশালী 'হতে পারতেন না। মুক্তিযো'দ্ধাদের ভালো রাখার জন্য অন্তত আপনারা তাদের পাশে দাঁড়ান। আমিও সরকারিভাবে আমা'র করণীয় যেটা করছি, করব।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজকে আমর'া বিজয়ী জাতি হিসেবে সারাবিশ্বে সম্মান অর্জন করেছি। মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করেছি। এজন্য আমা'দের অনেক নেতাকর্মীর জীবন বিসর্জন দিতে হয়েছে৷ আমি তাদের শ্র'দ্ধার সাথে স্মর'ণ করছি।’








তিনি বলেন, ‘২১ বছর পর আমর'া ক্ষমতায় এসে মুক্তিযো'দ্ধাদের সম্মান দেয়ার উদ্যোগ নিই। তাদের সম্মানী ভাতাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়েছি। তাদের সুন্দর জীবন যাপনের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সন্তানদের চাকরি নিশ্চিত করেছি। এখন ভাতা যাতে ডিজিটাল প'দ্ধতিতে সহজে পান সে ব্যবস্থাও নিয়েছি। আজকে এটির উদ্বোধন হচ্ছে।’
১৫ আগস্টের হ'ত্যাকাণ্ডের পর পর বাংলাদেশের মুক্তিযু'দ্ধের চেতনা নস্যাৎ করা হয়। দেশের মানুষের আকাঙ্খা অ’পূর্ণ থেকে যায়। সংবিধান ল'ঙ্ঘন করে অবৈ'ধভাবে ক্ষমতা দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়।
তিনি বলেন, আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি। এদিন সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে ভোট করে খালেদা জিয়া। ২ শতাংশ ভোটও পড়েনি কিন্তু তিনি নিজেকে প্রধানমন্ত্রী দাবি করে বসেন। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। যদিও গণ আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভোট দিতে বাধ্য হয়। এতে অনেক মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। আমা'দের দলের অনেক নেতাকর্মীরও জীবন দিতে হয়েছে।








এ সময় কুড়িগ্রাম, গাজীপুর, মৌলভীবাজার, খুলনা, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জে'লার উপজে'লা থেকে মুক্তিযো'দ্ধা'রা ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের স'ঙ্গে কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুক্তিযু'দ্ধ বি'ষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন, মুক্তিযু'দ্ধ সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মক'র্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply