
রম্য প্রতিবেদনঃ বিশ্বের ক্ষ’মতাধর দেশের প্রেসিডেন্ট এখন ক্ষ'মা পাওয়ার উপায় খুঁজছেন। মা'র্কিন আইনসভায় বা ক্যাপিটাল ভবনে সমর'্থকদের হা’ম’লা, ভা’ঙচু’র ও অ’'গ্নিসং’যো’গের পর গ্রে'’ফ’তার আ’ত’'ঙ্কে থরথর করে কাঁ’প’ছেন। এমন অবস্থায় যুক্তভ্র’ষ্ট থেকে পা’লিয়ে বাংলাদেশের ভাসানচরে আ’ত্মগো’পন করতে চান ডোলান্ড ট্রাম্প। এজন্য নীতি রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন।








তবে ডোলান্ড ট্রাম্পের এই আবেদনে বাঁধ সেধেছেন রোহি'ঙ্গরা। যেহেতু ভাসানচরে ইতিমধ্যে রোহি'ঙ্গারা বসবাস শুরু করেছেন। সেকারণে তাদের নিরাপ'ত্তার প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তাদের দাবি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই চরে কোনো উগ্র প্রাণি ঢুকে পড়লে সেখানে শান্তি ন’ষ্ট 'হতে পারে।
এক রোহি'ঙ্গা নেতার স'ঙ্গে কথা হয় এই রম্য প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে সভ্য দেশের আইনসভায় যিনি শান্তি ভ'ঙ্গ করেন তিনি সামান্য একটি চরে কী করে শান্তি বজায় রাখবেন? এজন্য আমর'া তাকে কোনোভাবেই ভাসানচরে আসতে দিব না।








তিনি আরও বলেন, ভাসান চরে আমর'া নতুন। তাই চরের আশেপাশে বসবাস করা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও অন্যান্য প্রাণি নিয়ে আমর'া একটি জরুরি বৈঠক করেছি। সেখানে সবার মতামত চাওয়া হয়েছিল। বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে ট্রাম্পকে বয়কট করার সি'দ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত বিভিন্ন প্রাণির মতামত, ট্রাম্প জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বা'স করেন না। তার এই নীতির কারণে প্রকৃতি ক্ষ'তির মুখে। বন্য ও মৎস্য প্রাণিকূলকে ট্রাম্প কোনো প্রাণি মনে করেন না। তিনি নিজ দেশের কৃষ্ণা'ঙ্গ ও প্রবাসীদেরও মানুষ মনে করেন না। ফলে তার মতো পরিবেশ ও প্রাণিবিদ্বেষী এক উগ্র ব্যক্তিকে ভাসানচরে আশ্রয় দেয়া মানে সেখানকার গোটা প্রাণিকূলকে ঝুঁকিতে ফেলা।








ট্রাম্পকে ভাসানচরে ঢুকতে দিতে রাজি না হলে তার ফার্স্টলেডিকে আশ্রয় দিতে কোনো আপ'ত্তি নেই রোহি'ঙ্গাদের। তবে ফার্স্টলেডি মেলানিরাকে একটি শর্ত মানতে হবে। রোহি'ঙ্গারা মনে করেন, ট্রাম্পকে কুপোকাত করার জন্য একমাত্র উপযুক্ত ব্যক্তি মেলানিরা। এজন্য মেলানিরাকে আশ্রয় দেয়া যাব'ে এক শর্তে। সেটি হল, তিনি ভাসানচরকে ট্রাম্পমুক্ত রাখবেন। মেলানিরা যদি ট্রাম্পের বিরু'দ্ধে অবস্থান নেন এবং ভাসানচরে ট্রাম্পকে ঢুকতে না দেন, তাহলেই কেবল তাকে রোহি'ঙ্গাদের জন্য নির্মিত একটি ছোট কক্ষ বরাদ্দ দেয়া হবে।
এদিকে ভাসানচরে আশ্রয়ের জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন ট্রাম্প। অ্যাসাইলামের আবেদনের পাশাপাশি তিনি ভাসানচরে বড় বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন। যুক্তভ্রষ্ট রাষ্ট্রে তার সমর'্থকদের চোখের পানি মোছার জন্য বিপুল পরিমাণ টিস্যু পেপার প্রয়োজন। এজন্য টিস্যু পেপার উৎপাদনে তিনি ভাসানচরে কারখানা করতে চান।








কিন্তু ট্রাম্পের এই বিনিয়োগ আগ্রহের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান রোহি'ঙ্গারা। তাদের ধারণা, ট্রাম্প তার সমর'্থকদের চোখের পানি নিয়েও ব্যবসা করার ফন্দি করছেন। চোখের পানি মুছতে টিস্যু দেয়ার নামে তিনি সমর'্থকদের থেকে অর্থ আ'দায় করতে চান। ট্রাম্পের মুনাফালোভের কারণে তার প্রতি এমন সন্দে'হ রোহি'ঙ্গাদের।
তবে ভাসানচরে আশ্রয়ের বি'ষয়ে হাল ছাড়ছেন না ট্রাম্প। নিজের কৃতকর্মের জন্য তিনি প্রাণিজগতের কাছে ক্ষ'মা চাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তার ক্ষ'মা চাওয়ার পরে রোহি'ঙ্গা সি'দ্ধান্ত পরিবর্তন করে কিনা সেটিই এখন দেখার বি'ষয়।








বিঃ দ্রঃ রম্য প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য পাঠককে বিনোদন দেয়া। কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, গোষ্ঠী বা দেশকে ছোট-কটাক্ষ করা উদ্দেশ্য নয়। ভুলবশত এমন কোনো বাক্য-শব্দ প্রয়োগ হলে সংশোধনযোগ্য।
Leave a Reply