
মিয়ানমা'রে সেনাবাহিনীর ক্ষ’মতা দ’খ’লের নি’ন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মিয়ানমা'রের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চিসহ গ্রে'’ফতার সব নেতার মু’ক্তির দা’বিও জানিয়েছে দেশটি। খবর আলজাজিরার।
৮ নভেম্বরে অনুষ্ঠিত মিয়ানমা'রের জাতীয় নির্বাচনের ফলকে সম্মান জানাতে মিয়ানমা'রের সেনাবাহিনীকে অনুরোধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই স'ঙ্গে দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা, অং সান সু চি এবং ক্ষমতাসীন দলের অন্যান্য প্রবীণ ব্যক্তিদের গ্রে'ফতারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপ'ত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান এ বি'ষয়ে বিফ্র করেছেন।








এনএলডির মুখপাত্র মিও নয়েন্ট বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও দলের অন্যান্য নেতাকে সোমবার ভোরে বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। এনএলডির মুখপাত্র মিও নয়েন্ট নিজেও গ্রে';ফতার হওয়ার আশ’ঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এনএলডির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হান থার মিন্টকেও আ’টক করা হয়েছে। সৈন্যরা দেশের বিভিন্ন প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে তাদের আট'ক করে নিয়ে যায় বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
মিয়ানমা'রের সেনাবাহিনীর এই পদ'ক্ষেপকে দেশটির গণতান্ত্রিক উত্তরণকে নষ্ট করার ষ'ড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এ সম্পর্কে বিফ্র করেছেন। সাধারণ নির্বাচনের ফল পরিবর্তন করতে বা মিয়ানমা'রের গণতান্ত্রিক উত্তরণে বাধা দেওয়ার যে কোনো প্রয়াসের বিরোধিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।








এদিকে অস্ট্রেলিয়াও মিয়ানমা'রে সেনা অভ্যত্থানের নিন্দা জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী ম্যারিসে পেইনও বলেছেন, এই গ্রে'ফতারের নিন্দা জানাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। তারা চান মিয়ানমা'রে আইনের শাসন মর'্যাদা পাবে, আইনসম্মত পন্থায় বিতর্কের অবসান ঘটবে এবং সু চিসহ আট'ক নেতাদের মুক্তি দেওয়া হবে।
সু চিসহ দেশটির জ্যেষ্ঠ নেতাদের আট'কের কারণ হিসেবে সেনাবাহিনী ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ‘কারচুপির অ'ভিযোগকে’ সামনে এনেছে।গত বছরের ৮ নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে সু চির দল এনএলডি ভূমিধস জয় পায়। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য যেখানে ৩২২ আসনই যথেষ্ট, সেখানে এনএলডি পেয়েছে ৩৪৬ আসন। কিন্তু সেনাবাহিনী সমর'্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ভোটে প্রতারণার অ'ভিযোগ তুলে ফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। দলটি নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি তোলে। তার পর থেকেই দেশটিতে ফের সামর'িক অভ্যুত্থানের আশঙ্কা করা হচ্ছিল। সেটিই আজ সত্যি প্রমাণ হল।








মিয়ানমা'র দীর্ঘদিনের ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল। ২০০৮ সালে দেশটি গণতন্ত্রের পথে ধাবিত হওয়ার আগ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর অধীনে ছিল। মিয়ানমা'রের গণতান্ত্রিক উত্তরণে মূল ভূমিকা রাখেন দেশটির স্বাধীনতার অবিসংবাদী নেতা অং সান। পরবর্তীতে তার মেয়ে অং সান সু চি ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি দল গঠন করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে মূল ভূমিকা রাখেন। এ কারণে তাকে কয়েক বছর গৃহব'ন্দিও থাকতে হয়েছে।
Leave a Reply